শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১০:২৩

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
নাটোরে হঠাৎ বৃষ্টিতে স্বস্তিতে কৃষক

নাটোরে হঠাৎ বৃষ্টিতে স্বস্তিতে কৃষক

dynamic-sidebar

নাটোরঃ


আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পুরো আকাশ হালকা মেঘে ঢাকা ছিল, কোথাও সূর্যের দেখা মেলেনি।কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ বৃষ্টিপাতের কারণে উঠতি গম, সরিষা ও মশুরের জন্য কিছুটা বিপত্তি ঘটলেও এ বৃষ্টি কৃষি ও কৃষকের জন্য আশির্বাদ। বিশেষ করে আম, লিচু, ভুট্টা, রসুন, পেঁয়াজ এবং বোরো ধানের জন্য এ বৃষ্টি খুবই উপকারী।নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, যে সব কৃষক দেরিতে গম, সরিষা ও মশুর চাষ করেছেন, তাদের জন্য এ বৃষ্টিপাত সামান্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। কিন্তু সার্বিকভাবে অন্য ফসলের কোনো ক্ষতি হবে না।অধিকাংশ কৃষক তাদের চাষকরা গম, সরিষা ও মশুর ঘরে তুলেছেন। এসব ফসলের অবস্থা ক্ষতির পর্যায়ে নেই।তিনি বলেন, পুকুর বা ভুগর্ভস্থ পানির চেয়ে বৃষ্টির পানি ফসলের জন্য ভালো। কারণ এ পানিতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ বেশি থাকে। বৃষ্টির পানিতে রোগ-বালাই থেকে মুক্ত থাকে ফসল।বৃষ্টিপাতের পরপরই আকাশ পরিষ্কার হয়ে রোদ হলে ফসলের জন্য অনেক ভালো। কিন্তু আকাশে দুই/তিনদিন যদি মেঘলা অবস্থা বিরাজ করে, তাহলে ফসলের জন্য ক্ষতিকর। তবে আপাতত এ বৃষ্টিপাত ফসলের জন্য আশির্বাদ বলে জানান তিনি।এদিকে, হালতি বিলের কৃষক মনু মিয়া জানান, এ সময়ে বৃষ্টি হলে ভুগর্ভস্থ পানির স্তর ভালো থাকবে, ফসলের রোগ-বালাই কম হবে এবং বোরো জমিতে সারের পরিমাণ কম লাগবে।একই এলাকার ভুট্টা চাষি রিপন জানান, ভুট্টায় সাধারণত রোপণ থেকে ওঠা পর্যন্ত দুই/তিনটি সেচ দিতে হয়। বৃষ্টিপাত হলে আর সেচ দিতে হবে না। এতে অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী হবেন তারা।
হলুদ ঘর গ্রামের কৃষক মোজাহার আলী, সদর উপজেলার আমহাটি এলাকার কৃষক মামুন জানান, এ বৃষ্টি আম ও লিচুর মুকুলের জন্য খুবই উপকারী। এ বছর অন্যান্য বারের তুলনায় গাছে মুকুল আগে এসেছে এবং অবস্থাও খুব ভালো।তারা জানান, বৃষ্টিপাতের কারণে গাছে মুকুলের আবরণ থেকে ধুলো-বালি সরে যাবে এবং পোকা-মাকড়ের প্রার্দুভাব কম হবে।অপরদিকে, মশুর ও গম চাষিরা বলছেন ভিন্ন কথা। নলডাঙ্গা উপজেলার বাসুদেবপুর চকপাড়া গ্রামের কৃষক আলী জানান, প্রায় ১০ বিঘা জমিতে তিনি মশুর চাষ করেছেন। এ ফসলের অধিকাংশই পাক ধরেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি এ মশুর ঘরে তুলবেন। কিন্তু বৃষ্টিপাতের কারণে দুঃশ্চিন্তায় আছেন।তিনি বলেন, এভাবে বৃষ্টিপাত হলে দেরিতে চাষকরা মশুরগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। একই কথা জানালেন, কৃষক নিতাই চন্দ্র, সাইফুল ইসলামসহ আরো অনেকে।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net